পরকে আপন করার শক্তি ও পৃথিবীর অন্নের বার্তা | ভাবার্থ

পরকে আপন করার ক্ষমতা ও পৃথিবীর অন্নের সৌহার্দ্য নিয়ে আলোচনা। ভারতবর্ষের ঐক্য ও অন্নের মাধ্যমে মৈত্রীর বার্তা এখানে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

ভাবার্থ লেখ:- "পরকে আপন করতে প্রতিভার প্রয়োজন। অন্যের মধ্যে প্রবেশ করিবার শক্তি এবং অন্যকে সম্পূর্ণ আপনার করিয়া লইবার ইন্দ্রজাল, ইহাই প্রতিবার নিজস্ব। ভারতবর্ষের মধ্যে সেই প্রতিভা আমরা দেখতে পাই। ভারত বর্ষ ও সংকরছে অন্যের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে এবং অনায়াসে অন্যের সামগ্রী নিজের করিয়া লইয়াছে। ভারতবর্ষ পুলিন্দ, শবর,ব্যাধ প্রভৃতি নিকট হইতেও বীভৎস সামগ্রিক গ্রহণ করিয়া তাহার মধ্যে নিজের ভাব বিস্তার করিয়াছে, তাহার মধ্যে দিয়াও নিজের আধ্যাত্মিকতাকে অভিব্যক্ত করিয়াছে। ভারতবর্ষ কিছুই ত্যাগ করে নাই এবং গ্রহণ করিয়া সকল আপনার করিয়াছে।"-

ভাবার্থ: পরকে আপন করে নেওয়ার জন্য বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। এই ক্ষমতা হলো অন্যের মন ও সংস্কৃতির গভীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা এবং সেই সংস্কৃতিকে নিজের মতো করে গ্রহণ করার এক অভাবনীয় দক্ষতা। ভারতবর্ষের মধ্যে এই ক্ষমতা বা প্রতিভা স্পষ্ট। ভারতবর্ষ বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তাদের সংস্কৃতি ও জীবনধারা গ্রহণ করেছে এবং তা নিজের ভাবধারায় রূপান্তরিত করেছে। পুলিন্দ, শবর, ব্যাধ প্রভৃতি নৃগোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রাপ্ত বহু জিনিস ভারতবর্ষ এমনভাবে গ্রহণ করেছে যে সেগুলির মধ্য দিয়েই তার আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটেছে। ভারতবর্ষ কিছুই পরিত্যাগ করেনি; বরং সবকিছুকে আপন করে নিয়ে নিজের ঐতিহ্যে সন্নিবেশিত করেছে।

Related Posts

ভাবার্থ লেখ:- পৃথিবী আমাদের যে অন্ন দিয়ে থাকে সেটা শুধু পেট ভরবার নয়,ছিনিয়ে নেবার হিংস্রতার ডাক এতে নেই। এতে আছে একই নিমন্ত্রনের সৌহার্দ্যের ডাক।

ভাবার্থ: পৃথিবী আমাদের যে অন্ন দেয়, তা কেবল পেট ভরানোর জন্য নয়। এই অন্নে কোনো হিংস্রতার ডাক নেই, নেই কোনো লোভ-লালসার স্থান। বরং এতে রয়েছে সৌহার্দ্যের একটি আন্তরিক আহ্বান। পৃথিবী যেন সকলকে একত্রে বসে খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানায়। এই অন্ন ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে থাকার বার্তা দেয়। ছিনিয়ে নেওয়ার বদলে এখানে রয়েছে ভাগ করে নেওয়ার শিক্ষা। এই অন্ন শুধু শরীরের ক্ষুধা মেটায় না, মনকেও শান্তির ও মৈত্রীর পথ দেখায়। এটি প্রকৃতির ভালোবাসার এক অনন্য প্রতীক।

Post a Comment

Leave your thoughts in the comments, and we will reply to you very soon!